বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি যেভাবে প্রতিদিন উন্নত হচ্ছে, তেমনই কাজের ধরনেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। অফিস কেন্দ্রিক চাকরির বাইরে এখন মানুষ বাসা থেকেই আয়ের পথ বেছে নিচ্ছে – একেই আমরা বলি “ফ্রিল্যান্সিং।” ফ্রিল্যান্সিং কেবল একটি পেশা নয়, এটি একটি স্বাধীনতা, যেখানে আপনি নিজের সময়, কাজ ও আয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন। তবে এই দুনিয়ায় প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা। আর এই দিকনির্দেশনার ভূমিকায় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান মানিকগঞ্জে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে – মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমি।
মানিকগঞ্জে ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কেন বেড়েছে?
মানিকগঞ্জ একটি সম্ভাবনাময় জেলা। এখানে প্রচুর তরুণ-তরুণী রয়েছে যারা উচ্চশিক্ষিত হলেও কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশ। অন্যদিকে, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে আপনি ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এ কারণে এই জেলায় ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এছাড়া যারা পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু আয় করতে চায় বা গৃহিণী কিংবা চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ইনকামের পথ খুঁজছেন, তাদের জন্যও ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আদর্শ সমাধান।
মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমি: গড়ে তুলছে ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা
মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমি একটি নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যারা গত কয়েক বছর ধরে মানিকগঞ্জে ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে কাজ করছে। এখানে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং প্রতিটি বিষয় সহজভাবে শেখানো হয় যাতে একজন একদম নতুন শিক্ষার্থীও ধাপে ধাপে নিজেকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
এই প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব হলো – তারা শুধু টেকনিক্যাল স্কিল শেখায় না, বরং কীভাবে কাজ পাওয়া যায়, কীভাবে প্রোফাইল সাজাতে হয়, ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে হয় – এইসব গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোও শেখায়।
কোর্সের বিষয়বস্তু ও মেয়াদ
মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমিতে বিভিন্ন মেয়াদে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করানো হয়। মূলত দুটি মেয়াদের কোর্স রয়েছে – চার মাস ও ছয় মাস। প্রতিটি কোর্সেই শিক্ষার্থীদের বর্তমান মার্কেট অনুযায়ী দরকারি স্কিল শেখানো হয়। সাধারণত নিচের বিষয়গুলো শেখানো হয়:
- গ্রাফিক ডিজাইন (Photoshop, Illustrator)
- ডিজিটাল মার্কেটিং (Facebook Ads, Google Ads, SEO)
- ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট (HTML, CSS, WordPress)
- কনটেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং
- ভিডিও এডিটিং
- ফাইভার ও আপওয়ার্ক প্রোফাইল সেটআপ ও গিগ তৈরি
- ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট ও কমিউনিকেশন স্কিল
কোর্সের সিলেবাস দেখুন: ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের বিস্তারিত সিলেবাস ও ফি দেখুন
এছাড়া ক্লাসে থাকে প্র্যাকটিকাল কাজ, লাইভ প্রজেক্ট এবং রিয়েল মার্কেট বিশ্লেষণ যা একজন শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করে তোলে আসল দুনিয়ার জন্য।
কোর্স ফি ও সুযোগ সুবিধা
এই একাডেমির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো – তারা কম খরচে মানসম্পন্ন কোর্স করায়।
- ৪ মাসের কোর্স ফি মাত্র ২০,০০০ টাকা
- ৬ মাসের কোর্স ফি মাত্র ৩০,০০০ টাকা
শিক্ষার্থীরা চাইলে কিস্তিতেও কোর্স ফি দিতে পারে। ক্লাস হয় অনলাইন ও অফলাইন – দুইভাবেই। ফলে যাঁরা দূরে থাকেন বা সময় মতো আসতে পারেন না, তারাও শেখার সুযোগ পান।
সফল শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা
মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমির অনেক ছাত্রছাত্রী ইতোমধ্যেই Fiverr, Upwork, Freelancer.com-এ সফলভাবে কাজ করছেন। কেউ কেউ প্রতি মাসে ৫০,০০০ থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। অনেকে তাদের ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম দিয়ে পরিবার চালাচ্ছেন, পড়াশোনার খরচ মেটাচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে আত্মনির্ভর হয়েছেন।
একজন শিক্ষার্থী বলেছিলেন, “আমি আগে কিছুই জানতাম না। কিন্তু একাডেমির শিক্ষকদের ধৈর্য, গাইডলাইন আর সাপোর্টের জন্য আজ আমি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার।”
শিক্ষার্থীদের সাপোর্ট ও গাইডলাইন
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আলাদা করে মনিটর করা হয়। নিয়মিত প্র্যাকটিস, হোমওয়ার্ক, রিভিউ ক্লাস এবং কুইজের মাধ্যমে শেখানো হয়। যারা একটু পিছিয়ে পড়েন, তাদের জন্য থাকে অতিরিক্ত সময় দিয়ে কোচিংয়ের সুবিধা। এছাড়া কোর্স শেষে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট এবং ক্যারিয়ার গাইডলাইন সেশন।
ভর্তি প্রক্রিয়া ও যোগাযোগ তথ্য
ভর্তি হতে চাইলে খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। নিচের যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ফোন বা সরাসরি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেই ভর্তি নিশ্চিত করা যায়।
- মোবাইল নম্বর: ০১৮৩৬২২১১৮৮
- ওয়েবসাইট: https://manikganjit.com/about-us/
- ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/ManikganjITAcademy
- ইমেইল: manikganjitacademy@gmail.com