আপওয়ার্ক থেকে কাজ শেখার ট্রেনিং মানিকগঞ্জ

আপওয়ার্ক থেকে কাজ শেখার ট্রেনিং মানিকগঞ্জ

আপওয়ার্ক হলো একটি আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে দক্ষ পেশাজীবীরা বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে অনলাইন কাজ নিয়ে থাকেন। এই প্ল্যাটফর্মে আপনি নিজের স্কিল অনুযায়ী কাজ খুঁজে পেতে পারেন এবং সেটি সম্পন্ন করে অর্থ আয় করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন জানেন, তাহলে লোগো ডিজাইন, ব্যানার, ব্র্যান্ডিং ইত্যাদি কাজ করতে পারেন। কনটেন্ট রাইটার হলে আর্টিকেল লেখা, ব্লগ পোস্ট, ওয়েবসাইট কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। আবার ডিজিটাল মার্কেটার হলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, গুগল অ্যাডস, এসইও ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়।

এছাড়াও রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্সসহ বহু ধরণের স্কিলভিত্তিক কাজের সুযোগ।

কেন আপওয়ার্ক শেখা দরকার এবং এটি আয় করার একটি বাস্তব উপায় কীভাবে?

বর্তমান যুগে চাকরির পাশাপাশি ঘরে বসে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপওয়ার্ক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা সঠিকভাবে শিখে ব্যবহার করতে পারলে এটি হতে পারে একটি দীর্ঘমেয়াদী আয়ের উৎস।

ধরা যাক, একজন তরুণ ৩ মাস সময় নিয়ে কনটেন্ট রাইটিং শিখেছে। এরপর আপওয়ার্কে সে একটি প্রোফাইল তৈরি করে, কয়েকটি প্রজেক্টে বিড করে এবং অবশেষে একটি ৫০ ডলারের কাজ পায়। যদি সে নিয়মিত ৩ থেকে ৫টি ছোট কাজ পায় প্রতি মাসে, তাহলে মাসিক আয় হতে পারে ৩০০ ডলার বা তার বেশি, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো। এটি যে কেবল সম্ভব, তা নয়—বর্তমানে হাজারো মানুষ এভাবেই আয় করছে।

আপওয়ার্কে সফল হতে কী কী স্কিল শেখা প্রয়োজন?

আপওয়ার্কে কাজ করতে হলে আপনাকে যেকোনো একটি বা একাধিক দক্ষতা আয়ত্ত করতে হবে। নিচে কিছু চাহিদাসম্পন্ন স্কিলের তালিকা দেওয়া হলো:

কনটেন্ট রাইটিং

ব্লগ, আর্টিকেল, ওয়েব কনটেন্ট লেখার দক্ষতা

ডিজিটাল মার্কেটিং

ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, গুগল মার্কেটিং এবং এসইও

গ্রাফিক ডিজাইন

ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ব্যানার ডিজাইন

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ওয়ার্ডপ্রেস, HTML, CSS, জাভাস্ক্রিপ্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স

ডাটা এন্ট্রি, ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, গবেষণা

এই স্কিলগুলো শেখার পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন কাজে আপনার আগ্রহ ও দক্ষতা বেশি।

মানিকগঞ্জে বসে আপওয়ার্ক শেখার সুযোগ কেমন?

বর্তমানে প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে মানিকগঞ্জের যেকোনো শিক্ষার্থী বা তরুণ-তরুণী ঘরে বসেই আপওয়ার্ক শেখার সুযোগ পাচ্ছেন। ইন্টারনেট কানেকশন, একটি মোবাইল বা কম্পিউটার এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকলে আপনি ঘর থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখে কাজ শুরু করতে পারবেন।

মানিকগঞ্জে এখন এমন অনেক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যার মধ্যে Manikganj IT Academy অন্যতম। এখানে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা অফলাইন বা অনলাইনে ক্লাস করে নিজেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের উপযুক্ত করে তুলতে পারছে।

মানিকগঞ্জ IT Academy-তে আপওয়ার্ক শেখানো হয় কীভাবে?

ক্লাস পদ্ধতি

এই একাডেমিতে প্রতিটি কোর্সে বিষয়ভিত্তিকভাবে ক্লাস নেওয়া হয়। শুরু হয় প্রোফাইল তৈরি, মার্কেট রিসার্চ এবং বিডিং শেখা দিয়ে। এরপর ধাপে ধাপে শেখানো হয় ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন, কাজ জমা দেওয়া এবং ফিডব্যাক নেওয়ার কৌশল।

প্র্যাকটিক্যাল শেখানো

শুধু তত্ত্ব নয়, প্রতিটি মডিউলে রয়েছে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই প্র্যাকটিস প্রজেক্ট করে, যার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব হয়।

লাইফটাইম সাপোর্ট

কোর্স শেষ হওয়ার পরেও শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল রিভিউ, ক্লায়েন্ট মেসেজিং, প্রজেক্ট হ্যান্ডলিংসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেওয়া হয়। লাইফটাইম সাপোর্টের সুবিধার কারণে শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়লে সহজেই সাহায্য পায়।

অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক

এখানে যেসব প্রশিক্ষক রয়েছেন, তারা নিজেরাই আপওয়ার্কে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষার্থীরা কার্যকরভাবে শিখতে পারে।

কোর্সের সময়কাল, ফি এবং ভর্তি প্রক্রিয়া

  • চার মাস মেয়াদি কোর্স – ২০,০০০ টাকা
  • ছয় মাস মেয়াদি কোর্স (অ্যাডভান্স লেভেল) – ৩০,০০০ টাকা
  • কিস্তিতে পেমেন্ট – হ্যাঁ, সহজ কিস্তি সুবিধা রয়েছে
  • ভর্তি প্রক্রিয়া – সরাসরি অফিসে গিয়ে অথবা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে ভর্তি হওয়া যাবে

যোগাযোগ:
মোবাইল: ০১৮৩৬২২১১৮৮
ওয়েবসাইট: manikganjit.com
ফেসবুক: facebook.com/manikganjitacademy

কেন মানিকগঞ্জ IT Academy একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান আপওয়ার্ক শেখার জন্য?

শিক্ষার্থীদের রিভিউ

অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা এখান থেকে কোর্স করে নিজেরা আপওয়ার্কে কাজ পাচ্ছেন এবং মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করছেন।

সফলতার বাস্তব উদাহরণ

গত দুই বছরে এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী আপওয়ার্কে অ্যাকটিভভাবে কাজ করছেন। অনেকেই এখন ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

ট্রেইনারদের অভিজ্ঞতা

প্রশিক্ষকদের গড়ে ৩-৭ বছরের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে ক্লাসে সবসময়ই আপডেটেড তথ্য ও বাস্তব কৌশল শেখানো হয়।

একাডেমির সুনাম

মানিকগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকাতেও এই প্রতিষ্ঠানটি তার সেবা ও মানসম্মত প্রশিক্ষণের জন্য সুপরিচিত হয়ে উঠেছে।

শেষ কথা: এখনই কেন ভর্তি হওয়া উচিত?

আজকের দিনে স্কিল শেখা মানেই ভবিষ্যতের নিরাপদ প্রস্তুতি। চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন আয় করার পথ।

আপনি যদি ঘরে বসে আয় করতে চান, যদি নিজের ক্যারিয়ার নিজেই গড়তে চান, তাহলে আজই সিদ্ধান্ত নিন। সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে চাইলে এখনই ভর্তি হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

ভর্তি হতে যোগাযোগ করুন:
মোবাইল: ০১৮৩৬২২১১৮৮
ওয়েবসাইট: manikganjit.com
ফেসবুক: facebook.com/manikganjitacademy

Scroll to Top