ফ্রিল্যান্সিং কোর্স মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমি

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমি

বর্তমান যুগ প্রযুক্তিনির্ভর। জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রভাব রয়েছে। এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। গ্রাম হোক কিংবা শহর—ইন্টারনেট এবং স্কিল থাকলেই ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে। মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমি এই সুযোগকে আরও বাস্তব করে তুলেছে। তাদের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স এই অঞ্চলের তরুণদের জন্য উন্মুক্ত করেছে একটি নতুন জীবনের দরজা।

মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমি: পরিচিতি ও লক্ষ্য

মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমি একটি স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যা মূলত মানিকগঞ্জ জেলার শিক্ষার্থী ও তরুণদের তথ্য প্রযুক্তির দীক্ষা দিয়ে তাদের কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। একাডেমিটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি স্কিল শেখানোর মাধ্যমে তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করা। বিশেষ করে যারা চাকরি খুঁজছেন, পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করতে চান, অথবা ঘরে বসে উপার্জনের পথ খুঁজছেন—তাদের জন্য এটি একটি নিখুঁত সুযোগ।

কেন ফ্রিল্যান্সিং শেখা জরুরি?

বাংলাদেশের তরুণ সমাজের এক বিশাল অংশ বেকার। সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা শেষ করেও কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং শেখা মানে শুধু একটা স্কিল শেখা না, বরং নিজেকে একটি গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসে তুলে ধরা।

ফ্রিল্যান্সিং-এর সুবিধাগুলো নিম্নরূপ:

  • নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করা যায়।
  • দেশ বা বিদেশ যেখানেই থাকুন, শুধু ইন্টারনেট থাকলেই চলে।
  • কম খরচে শুরু করা যায়।
  • বৈশ্বিক ক্লায়েন্টদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন হয়।
  • উপার্জনের সীমা নেই।

মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমির ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে যা যা শিখানো হয়

মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমির ফ্রিল্যান্সিং কোর্স অত্যন্ত কাঠামোবদ্ধভাবে সাজানো। এখানে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো হয় এমন স্কিল যা তারা সরাসরি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজে লাগাতে পারে। কোর্সে অন্তর্ভুক্ত থাকছে:

  • গ্রাফিক ডিজাইন: লোগো, ব্যানার, ভিজিটিং কার্ড, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন ইত্যাদি।
  • ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট: HTML, CSS, JavaScript, WordPress ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করা।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং: ফেসবুক অ্যাড, ইউটিউব মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং।
  • এসইও (SEO): সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, কীওয়ার্ড রিসার্চ, অন-পেজ ও অফ-পেজ এসইও।
  • ডেটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: এক্সেল, ওয়ার্ড, গুগল ডকস, ইমেইল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।

এই স্কিলগুলো শেখানোর পর শিক্ষার্থীদের Fiverr, Upwork, Freelancer, PeoplePerHour এর মতো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি, বিডিং কৌশল ও কিভাবে ক্লায়েন্টদের মন জয় করা যায় তা শেখানো হয়।

কোর্সের মেয়াদ, ফি ও সাপোর্ট

মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমিতে দুটি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স অফার করা হচ্ছে:

  1. ৪ মাসের কোর্স: কোর্স ফি ২০,০০০ টাকা। এটি মূলত প্রাথমিক স্তরের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যারা একদম নতুন, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।
  2. ৬ মাসের কোর্স: কোর্স ফি ৩০,০০০ টাকা। এটি অ্যাডভান্স লেভেলের জন্য। যারা প্রাথমিক ধারণা নিয়ে আরও গভীরে শিখতে চান, মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে চান, তাদের জন্য এটি আদর্শ।

প্রতিটি কোর্সে ক্লাস হয় অফলাইনে, হাতে-কলমে শেখানো হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে:

  • লাইফটাইম সাপোর্ট।
  • ক্লায়েন্ট হ্যান্ডলিং গাইডলাইন।
  • রিভিউ ও প্রোফাইল বিল্ডিং সহায়তা।
  • সাফল্যের জন্য আলাদা মনিটরিং সাপোর্ট।

সফল শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা

মানিকগঞ্জ আইটি একাডেমির অসংখ্য শিক্ষার্থী বর্তমানে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ২০,০০০ থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকারও বেশি আয় করছেন। কেউ কাজ করছেন গ্রাফিক ডিজাইনে, কেউ ওয়েব ডেভেলপমেন্টে, আবার কেউ বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে। তাঁদের অনেকেই এখন নিজেরা ছোট টিম তৈরি করে কাজ করছেন, এমনকি নতুন শিক্ষার্থী গড়ে তুলছেন। একাডেমির একটি বড় গর্বের বিষয় হলো—তাদের অনেক শিক্ষার্থী এখন দেশের বাইরের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছেন।

ভর্তি প্রক্রিয়া ও যোগাযোগ

ভর্তি হতে চাইলে আপনাকে সরাসরি অফিসে এসে একটি ছোট সাক্ষাৎকার দিতে হবে। এরপর কোর্স ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত তারিখে ক্লাস শুরু হয়। আপনি চাইলে অনলাইনেও ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য পেতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে যোগাযোগ করে:

Scroll to Top